ইসলামে আকিকার করার সঠিক নিয়ম

আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের জন্য আমার নেয়ামত পূর্ণ করলাম এবং আমি তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলাম। যেমন হাদিসের নেতৃস্থানীয় আলেমরা বলেছেন কথা ও কাজ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয়ই। আকিদা বলতে সেই সব বিষয়কে বুঝায় যেগুলোর প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় বিশ্বাস অন্তর ও আত্মায়।

 আকিকার গুরুত্ব ও নিয়ম কানুন

এখানে উল্লিখিত ছয়টি মূলনীতি ঈমানের প্রবন্ধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস তাওহীদ। এটাকে আরবিতে বলা যেতে পারে আকার ল হাবল দড়ি বাঁধা ছিল অর্থাৎ একে শক্ত করে টেনে নেওয়া হয়েছিল। আরবি শব্দ আকিদা মূল আকিদা থেকে উদ্ভূত হয়েছে যা নিশ্চিত নিশ্চিতকরণ নিশ্চিতকরণ ইত্যাদির অর্থ বহন করে। কুরআনে আল্লাহ বলেন অর্থের ব্যাখ্যা। 

আকিকার সঠিক নিয়ম

তারা কোন সন্দেহ বা অনিশ্চয়তা সঙ্গে কলঙ্কিত হয় না আপনার অনিচ্ছাকৃত শপথের জন্য আল্লাহ আপনাকে শাস্তি দেবেন না তবে তিনি আপনার ইচ্ছাকৃত শপথের জন্য আপনাকে শাস্তি দেবে বীমা আক্কাদ তুম আল আইমান আল মাইদাহ ৫:৮৯

এই এবং অন্যান্য আয়াতে ইমান নেক আমলের পূর্বে রয়েছে যা অন্য সকল কাজের উপর ঈমানের প্রাধান্যের ইঙ্গিত দেয়। এখানে ইচ্ছাকৃত শপথ হিসাবে বর্ণনা করা ক্রিয়াটি হল আক্কাদা তাকিদ যা বোঝায় যখন একজনের হৃদয়ে সংকল্প থাকে।

অতঃপর একজন সাহাবায়ে কেরাম অযত্নে নামায আদায়কারী সম্পর্কে বলেছেন তার অন্তর যদি বিনয়ী ও নিবন্ধ থাকত তবে তার শরীর বিনয়ী ও নিবদ্ধ থাকত। ইতিকাদ বিশ্বাস শব্দটিও এই মূল থেকে উদ্ভূত এবং এর অর্থ বাঁধা এবং শক্তিশালী করা।

 আকিকার নিয়ম কানুন ও আকিকার পশু জবাই করার দোয়া

এবং এটি আমার সরল পথ সুতরাং এটি অনুসরণ করুন এবং অন্য পথগুলি অনুসরণ করবেন না কারণ তারা আপনাকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। ইসলামে আকিদাহ হলো জ্ঞানের বিষয়। মুসলিমকে অবশ্যই তার অন্তরে বিশ্বাস করতে হবে এবং কোনো সন্দেহ বা দ্বিধা ছাড়াই বিশ্বাস ও দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে কারণ আল্লাহ তাকে তাঁর কিতাবে এবং তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে তাঁর ওহীর মাধ্যমে আকিদা সম্পর্কে বলেছেন।

আকীকা বাধ্যতামূলক

এটা তাদের মুসলিম জন্য বাধ্যতামূলক যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো জন্ম নেওয়া শিশুকে স্বাগত জানানোর গুরুত্বের কারণে। শাইখ আল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেছেন যদি বিশ্বাস জ্ঞান এবং অনুভূতির দিক থেকে হৃদয় সুস্থ থাকে তবে এটি অনিবার্যভাবে মৌখিক বক্তব্য এবং কাজের মতো শারীরিক ক্রিয়াকলাপগুলি সুস্থতার দিকে পরিচালিত করবে।

ইসলামী পরিভাষায় সংজ্ঞায়িত আক্বীদা সেই আকীদার সাথে সম্পর্কিত যা প্রত্যেক মুসলমানের বিশ্বাস করা উচিত। জিব্রাইলের হাদীসে উল্লিখিত ঈমানের বিশ্বাস নীতিগুলি এই 'আকিদার ভিত্তি গঠন করে। উল্লেখিত বর্ণনায় জিবরীল আঃ ঈমান ইসলাম ও ইহসানের অর্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। নবী সাঃ উত্তরে বললেন ঈমান হল আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা তার কিতাব তাঁর রসূলগণ শেষ দিবস ও পূর্বনির্ধারণের প্রতি ঈমান আনা।

যা বাহ্যিক তা অবশ্যই অভ্যন্তরীণ যাকে অনুসরণ করতে হবে তাই যদি অভ্যন্তরীণ যা সঠিক হয় তবে যা বাহ্যিক তাও স্থির হবে এবং যদি তা প্রাক্তন দুর্নীতিগ্রস্ত হয় তবে পরের ও কলুষিত হবে। কুরআন সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে যে ঈমানকে অন্য সব কিছুর প্রাধান্য দিতে হবে। অনেক আয়াত মুসলমানদেরকে যারা বিশ্বাস করে এবং সৎ কাজ করে বলে সম্বোধন করে যেমনটি নীচের আয়াতে দেখানো হয়েছে।

 

সঠিক আকিদার গুরুত্ব কুরআন ও সুন্নাহ থেকে প্রাপ্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যারা পরকালের দিকে না যাওয়া পর্যন্ত অবিশ্বাস করতে থাকে আল্লাহ তাদের পাপ ক্ষমা করবেন না এবং তিনি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।

আ তাকদতু কাধা আমি অমুক অমুক বিশ্বাস করি শব্দগুচ্ছের অর্থ হল আমি মনে মনে এটার ব্যাপারে নিশ্চিত এটি একটি যৌক্তিক প্রত্যয়। মুসলমানদের বিশ্বাস ব্যবস্থায় তাওহীদের অপ্রতিরোধ্য প্রকৃতির কারণে আকিদাকে কখনও কখনও তাওহীদ বলা হয়। যারা ঈমান আনে এবং তাদের জন্য সৎকাজ করে তারাই তাদের বিশ্বাস করে না।