নেত্রকোনা জেলায় বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী​ ও আলোচনা পালন - Alorpoth24.com | সত্য প্রকাশে কলম চলবেই

শিরোনাম

15 August, 2020

নেত্রকোনা জেলায় বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী​ ও আলোচনা পালন

তানজিলা আক্তার রুবি: নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

​নেত্রকোনায় নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয় । শনিবার কর্মসূচিতে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ,বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক ও আলোচনা সভা।
সকালে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসন আয়োজিত​ মোক্তারপাড়া মুক্তমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন, সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা​ ​ আশরাফ আলী খান খসরু, সংসদ সদস্য​ ​ হাবিবা রহমান খান, জেলা প্রশাসক কাজী মো: আব্দুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায়, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ, জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, জেলা প্রেসক্লাব, বিভিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন।
এছাড়াও শহরের তেরীবাজারের সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা হয়।
আজ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাঙালির জীবনে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক দিন। ১৯৭৫ সালের এই কালরাতে বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন​ করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। তাদের নির্মম বুলেটে সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে শাহাদতবরণ করেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাঙালির মুক্তির মহানায়ক স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে যখন ক্ষত-বিক্ষত অবস্থা থেকে দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তখনই ঘটানো হয় ইতিহাসের নির্মম এ ঘটনা। সেই নির্মম ঘটনার বর্ণনায় কবি রফিক আজাদ তার ‘এই সিঁড়ি’ কবিতায় লিখেছেন- ‘সিঁড়ি ভেঙে রক্ত নেমে গেছে-/ স্বপ্নের স্বদেশ ব্যেপে/ সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে/ অমল রক্তের ধারা ব’য়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে॥’
সেদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও​ ৬ বছরের শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
প্রতি বছর দিনটি আসে বাঙালির হৃদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। পুরো জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করে। এ বছর করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতিতেও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে আগস্টের প্রথম দিন থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

No comments:

Post a Comment