নেত্রকোণা প্রতিনিধি :
বাংলাদেশর মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের আওতায় হত দরিদ্রের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল বিরতণের বাস্তবায়ন করেন।
কিন্তু সব জায়গায় যখন অনিয়ম আর দূর্নীতিতে ভরা সেখানে গরিবের চাল চুরি ডাকাতি করতে ও বিবেকে ও বাজে না কিছু দূর্নীতিবাজদের আর তাদের সহযোগিতা করে কিছু দূর্নীতিবাজ সরকারি অফিসাররা। এমনি একটা অভিযোগ পাওয়া যায় নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় আগিয়া ইউপি সদস্যরা ও সরকারি আমলাদের। আগিয়া ইউনিয়নের হত দরিদ্র ১০টাকা দরে চালের কার্ড নিয়ে পাওয়া যায় অনিয়ম ও দূর্নীতি।
চালের কার্ডও বিতরণের অনিয়ম-দুর্নীতির নিয়ে নেত্রকোণা জেলার প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন আগিয়া ইউনিয়নের যুব লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন।
অভিযোগে উল্লেখ যে, ২৭-৫-২০ আগিয়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র চালের ৯ বস্তা চাল আত্মসাৎ করে এবং বিভিন্নভাবে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছিল ডিলার, নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম আক্তার হাতেনাতে ধরার ব্যাপারে জেনে ও আইনগত কোন ব্যবস্থা নেননি। তাছাড়া কার্ড পেয়েও চাল পায়নি, অনেকেই কার্ড হয়েছে জানে না । ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম রুবেল ও মেম্বারদের কার্ড নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি রয়েছে । ডিলার নজরুল ইসলাম সহ ইউপি চেয়ারম্যান মিলে ৭৫ টি কার্ডের চাল আত্মসাৎ করে বিক্রি করে আসছে। নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা আক্তার কাছে উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে গেলে ও কোন কিছুর সংশোধন করেননি। কার্ডধারীরা অনেকেই চাল পায়নি,এমনি কিছু নাম আছে যারা ২বছর আগে মারা গেছে।
উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল -মামুনের তদন্ত করেন। ৪-৬-২০ ইং অভিযুক্তকারীদের উপস্থিতিতে ৩জন স্বাক্ষী গ্রহণ করেন। তদন্তে অভিযোগকারী ইউপি চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কার্ড সংশোধন করার জন্য। উল্লেখ কার্ডধারী স্বাক্ষীদের ভূয়া স্বাক্ষী প্রদান করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে আগিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন কার্ডধারীর কে না পেলেও পরিবারের অন্যদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় তাদের মধ্যে রাবিয়া খাতুনের স্বামী আক্কাছ আলী বলেন- প্রায় ৩বছর হয় কার্ড হয়েছে তার মধ্যে ৫বার চাল পেয়েছি আর পায়নি। আমার কার্ড হারিয়ে গিয়েছিল থানায় জিডিও করেছি কিন্তু এর পরও কার্ড পায়নি,চাল ও পায়নি।
সাজেদা বলেন- আমার কার্ড হয়েছে তা জানিনা, আর চাল পায় না। আমার কার্ড দিয়ে কে খাচ্ছে তা ও জানি না।
এদিকে নির্বাহী কর্মকর্তাও ইউপি চেয়ারম্যান কে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
দেলোয়ার হোসেন বলেন- ২৭মে বাট্টা বাজারে চাল আটক করলে আমি এর বিচার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করি এবং ৪ ই জুন জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক আসে ও স্বাক্ষী হাজির করি কিন্তু ২-৩জন ছাড়া অন্যদের ঢুকতে দেওয়া দেননি নির্বাহী কর্মকর্তা তাছাড়া ভূয়া স্বাক্ষী প্রদান বলে বের করে দেন । এর ১৫ ই জুন কিছু অপরিচিত লোক রাস্তায় বেড়িগেট করে এবং অভিযোগ উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বলে ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ১৬ ই জুন নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম আক্তার ফোনে আমাকে দেখে নিবে ও ডিজিটাল মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। এই হুমকিতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম তাই ৭-৬-২০ ই প্রেস ব্রিফিং করি। ৷ সচেতন নাগরিক হিসেবে এ অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে যারা জড়িত আছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
উল্লেখিত বিষয়টি নিজ তদন্ত পূর্বক দরিদ্র জনসাধারণের উপকারার্থে দোষী ব্যক্তিদের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাই।
No comments:
Post a Comment