মইনুল ইসলাম মিশুক ,হোমনাঃ
হোমনার ফ্রন্ট লাইনার যোদ্ধা ডা. মাহবুবুর রহমান করোনা আক্রান্ত। গত কিছুদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিল। আজ তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
হোমনা উপজেলায় করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে উদ্যমী ফ্রন্ট লাইনার ছিলেন মাহবুব। সমস্ত পৃথিবী যখন করোনার ভয়ে তটস্থ তখন সে নিজে অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে হোমনার প্রথম স্যাম্পল সংগ্রহ করেছিল।নিজের দায়িত্বের বাইরে গিয়েও অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিনিয়ত কত রোগীকে সেবা দিয়ে গেছেন।
মাহবুবকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করা হয়েছিল। আমিও বলছি মাহবুব যেতে পারো। নিজের মেডিকেলে গিয়ে করোনা রোগীর সেবা দিবে। উত্তরে সে বলেছিল,
" ভাই, আমি যদি যাই তাহলে হয়তো অনেককে সেবা দিবো। কিন্তু আমি যদি হোমনায় থাকি তবে আমি হোমনার মানুষকে সেবা দিতে পারবো। আমার মা কে সেবা দিতে পারবো। এখানে আমার জন্মস্থান। হোমনার সেবা করে যদি করোনা আক্রান্ত হই, তবে সেটা আমি হাসিমুখে মেনে নিবো। "
হাসপাতালের সামনে ইটের রাস্তায় হাটছি আর মাহবুব কথাগুলো বলছিল।
আজ তার কথাই সত্যি হয়েছে। সে নিজে আক্রান্ত হয়েছে।
আজ একটু আগে তার সাথে কথা বললাম। সে বললো, তার এলাকার মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে। এতে তার কোন আক্ষেপ নাই।
মাহবুবরা হয়তো তাদের ত্যাগের কোন মূল্য পাবে না, হয়তো তাদের বীরত্ব নিয়ে কেউ স্ট্যাটাস দিবে না, হয়তো তার পরিবার সামাজিক হেনস্তার শিকার হবে, হয়তো অনেকের তীর্যক মন্তব্যের সম্মুখীন হবে। তবুও তারা সেবা দিয়ে যাবে নীরবে নিভৃতে।
ডাক্তার মাহাবুব দোয়া চেয়েছেন উপরওয়ালা যেন খুব দ্রুত সুস্থ করেন ও দেশের মানুষকে সেবা দেয়া শুরু করতে পারেন।
উপরের এই কথাগুলো আবেগঘন কণ্ঠে লিখেছেন তারই সহকর্মী ডাক্তার মিয়া ফারুক।
উপরের এই কথাগুলো আবেগঘন কণ্ঠে লিখেছেন তারই সহকর্মী ডাক্তার মিয়া ফারুক।
তাছাড়াও ডা. মাহবুবুর রহমানের করোনা মুক্তি কামনায় দোয়া চেয়েছেন তার মা মিসেস সুফিয়া বেগম। দোয়া কামনা করেছেন হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সেইসঙ্গে দোয়া চেয়েছেন শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
No comments:
Post a Comment