মোঃ সাজেদুল ইসলাম, মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের কাজলী গ্রামের মোছাঃ শ্যামলী বেগম নামে ২৬ বছর বয়সী এক মহিলা আজ সকাল ১০ টার দিকে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। মেয়ের বাবার নাম মোঃ আয়েব শেখ।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যানা যায় একই গ্রামের মৃত নওসের মুন্সির ছেলে ইমরুজ মুন্সির সাথে দীর্ঘ দিন ধরে ঐ মেয়ের ভালবাসার সম্পর্ক ছিল।
গতকাল ইমরুজ মন্সি তাকে অস্বীকার করে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে আসে।আরো জানা যায় এর আগে শ্যামলীর অন্যত্র বিয়ে হয়। সেখানে ৫ বছর সংসার করার পর শ্যামলীর স্বামী তাদের এই অবৈধ সম্পর্ক জেনে গেলে শ্যামলীকে তালাক দিয়ে দেয়।তাদের একটি পূত্র সন্তান আছে।
এরপর থেকে শ্যমলী কাজলীতে বাবার বাড়িতে থাকতো। এলাকাবাসী জানায় প্রায়ই তাদের মধ্যে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হতো।তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে, ইমরুজের বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ক মেনে নেয় না এবং গতকাল ইমরুজকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়।
বিয়ের দিন বিকালে শ্যামলী ইমরুজের বাড়িতে গিয়ে তাদের সম্পর্কের কথা বললে ইমরুজসহ তার পরিবার এই সম্পর্ক অস্বীকার করে এবং শ্যামলীসহ তার পরিবারকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং প্রাননাশের হুমকি দেয়।
এরপর আজ সকালে শ্যামলী নিজ বাড়িতে গলায় উর্না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।শ্যামলীর বাবা মায়ের দাবি ইমরুজ নিয়মিত শ্যামলীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিল। এখন বিয়ে না করায় শ্যামলী আত্মহত্যা করে।
উল্লেখ ইমরুজ মন্সী কাজলী গ্রামের আনিস হত্যা মামলার এজহার ভুক্ত ৬ নম্বর আসামি। এবং এলাকায় সন্ত্রাস গ্রুপের সদস্য।
শ্যামলীর পরিবার ও এলাকা বাসীর দাবি খুনি ইমরুজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
No comments:
Post a Comment