মোঃ সাজেদুল ইসলাম, মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়লী মধ্যপাড়া খেলার মাঠে এখন কোন ফসল নেই। নানান রকমের ঘুড়ি উরছে আকাশে। ছোট-বড়রা সবাই ভীর করছে ঘুড়ি উড়ানো দেখতে।
মুলতো একানে মূল আকর্ষন হলো স্হানীয় ছেলে মেহেদী হাসান এলিটের ড্রাগন ঘুড়ি উড়ানো। সে জন্য প্রায় কয়েকশত মানুষ এসেছে ড্রাগন ঘুড়ি কিভাবে উড়ে তা দেখার জন্য। ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার এই এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ড্রাগন ঘুড়ি উড়ানো দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে শত শত মানুষের ভীড়।
১৯ বছর বয়োসের সদ্য তরুন এলিট এই ঘুড়ির নির্মাতা। সে জানায়, ছোট ভাইয়ের আবদার ছিল একটা ড্রাগন ঘুড়ি বানিয়ে দিতে হবে। সেই থেকেই এটা তৈরীর চেষ্টা।
এলিট বলেন, প্রথম দিকে কাজটি সহজ ছিল না। কারন এর আগে এলাকার কেউ ড্রাগন ঘুড়ি বানাই নাই, এমনকি চোখেও দেখে নাই। ড্রাগন ঘুড়ি সম্পর্কে জানতে এবং বানাতে খুজাখুজি শুরু করি ইউটিউবে। তারপর সেখানে চীন ও জাপানীদের ঘুড়ি উৎসবে তথ্য মিলে ড্রাগন ঘুড়ির বিস্তারিত। তারপর এলিট তার বন্ধুদের সহযোগীতায় ২৮ দিনে তৈরী করে ড্রাগন ঘুড়ি। প্রথম দিকে ঘুড়িটির দৈর্ঘ্য ছিল ২৭৮ ফিট। অতিরিক্ত বড় হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে কিছুটা ছোট করে ফেলেন উড়ানোর জন্য। কিন্তু তিনি বড় মাঠে পুরো ঘুড়িটায় উড়াতে চান।
এলিট জানান, মুলতো ছোট ভাইয়ের আবদার মেটাতেই কাজের লেগে গেলাম। এটা উড়াতে অনেক বড় মাঠের প্রয়োজন। ড্রাগন ঘুড়ি উড়ানোর আগে ধরতেই লাগে ৫০-৭০ জন মানুষ। ঘুড়িটি বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। এলিটের দাবি বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ড্রাগন ঘুড়ি কেউ বানায়নি।
No comments:
Post a Comment