রবিউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার,গাজীপুর:
নিজের কোল জুড়ে যখন ফুটফুটে ছেলে সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখেছে তখন হাসপাতালের বিল দিতে না পারায় সেই সন্তানকে বিক্রি করতে হয়েছিল অভাগা মাকে। ঘটনাটি ঘটে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বিষয়টি অবগত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে ঘটনাটি।
গর্ভবতী কেয়া খাতুন, স্বামী -মোঃ শরীফ গত ২১-৪-২০২০ তারিখে "সেন্ট্রাল মেডিকেল হাসপাতাল " কোনাবাড়িতে জরুরী অবস্থায় ভর্তি হন। ওইদিন ই সিজারের মাধ্যমে কেয়া খাতুনের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে ছেলে সন্তান। কিন্তু বিপাকে পড়ে হাসপাতালের বিল নিয়ে। হাসপাতালে ১১ দিনে বিল আসে ৪৭০০০/(সাতচল্লিশ হাজার) টাকা। কিন্তু দারিদ্রের নির্মম পরিহাসে কেয়া খাতুন ও স্বামী শরীফ হাসপাতালের বিল দিতে অপারগ। কিন্তু বিল তো পরিশোধ করতেই হবে। উপায় না পেয়ে অন্যের কাছে নিজের সন্তান কে ২৫০০০/(পচিশ হাজার) টাকায় বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় এবং সেই সন্তান বিক্রির টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে মা তার নাড়িছেড়া ধনকে। তারপর নিজের সন্তান ছাড়াই গতকাল ১লা মে নিজ বাড়ি এনায়েতপুর, কাশিমপুরে চলে যান।
পরবর্তীতে বিষয়টি এডিশনাল আইজি (এসবি) এর মাধ্যমে গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাননীয় পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসের এর নজরে আসে। পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। মাননীয় পুলিশ কমিশনার নিজেই হাসপাতালের বিল পরিশোধের মাধ্যমে নবজাতক শিশুকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন। একটি সন্তানের জন্য যা পৃথিবীর সবথেকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মায়ের কোলে। তার সন্তানকে ফিরিয়ে দিয়ে মানবতার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
মা যেন তার নিজের সন্তানকে কাছে পেয়ে তার মাতৃত্বের সাধকে পূরন করেছে। মা এবং ছেলে এখন সুস্থ আছে।
No comments:
Post a Comment