আলোরপথ ডেস্কঃ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কেবল সরকারকে জনরোষের আগুন থেকে রক্ষার জন্যই অপব্যবহার চলছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এ মুহূর্তেই রাষ্ট্রের এ অন্যায় বন্ধ করতে হব। এ গণবিরোধী আইন বাতিল করতে হবে।’
শনিবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গোটা দেশবাসী গভীর বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, গত কয়েকদিন ধরে দেশের কয়েক জায়গায় বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সরকারের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার ওপর লেখালেখি করার কারণে বেশ কয়েকজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নতুন করে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৫ মে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট , লেখক, ব্যবসায়ী ও পাঁচ থেকে ছয়জন অজ্ঞাতনামাসহ ১৬ থেকে ১৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে র্যাব। ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন। যথাক্রমে আহমেদ কবির কিশোর (কার্টুনিস্ট), দিদারুল আলম ভূঁইয়া (সমাজ কর্মী), মোস্তাক আহম্মেদ (ব্যবসায়ী) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে। এর আগে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে নাটকীয়ভাবে ৫৩ দিন পর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা ও পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে একটি কার্য্যকরী মানহানি আইন থাকা সত্ত্বেও নির্যাতন ও হয়রানির উদ্দেশে ডিজিটাল আইনকেই বার বার ব্যবহার করছে সরকার। মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে পেছনে হাতমোড়া অবস্থায় হ্যান্ডকাফ পড়া সাংবাদিকের ছবিসহ সংবাদ, ডিজিটাল আইনকে সরকার কীভাবে সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে চলছে তার একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ। গণতান্ত্রিক অধিকারতো দূরে থাকুক মানুষ তার কষ্টের কথাও যাতে ভার্চুয়াল জগতে প্রকাশ করতে না পারে তার জন্য একের পর এক পরিপত্র জারি করে চলেছে সরকার।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিটিআরসির মতো একটি নিরপেক্ষ রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠানকে পরিণত করেছে ডিজিটাল জগতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রধান পুলিশি প্রতিষ্ঠানে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলসমূহই নয়, দেশের সব মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদপত্র সম্পাদকদের সন্মিলিত সংগঠন ওই গণবিরোধী আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হরদম গ্রেফতার করা হচ্ছে ও আতঙ্কের মধ্যে রাখা হয়েছে। অথচ ত্রাণের চাল ও গম চোরেরা নিরাপদে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত বন্দিদের জামিন পাওয়ার অধিকারসহ আইনের আশ্রয় লাভের মতো মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া হচ্ছে, মার্কেট খুলে দেওয়া হচ্ছে, মসজিদ মন্দির খুলে দেওয়া হচ্ছে অথচ দমন, পীড়ন, হামলা, মামলা করে জনগণের কণ্ঠরুদ্ধ করার নৈরাজ্যবাদীতার বিরুদ্ধে মানুষের আইনের আশ্রয় লাভের অবলম্বন আদালত দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল, যা এখন কেবল ভার্চুয়াল আদালত হিসেবে চালু করার প্রক্রিয়ায় আছে ।
Nice...
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteভাল
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteGood
ReplyDeleteHaha bnp said no Digital low
ReplyDeleteNc
ReplyDeleteNc
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteGood...
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteg
ReplyDeleteNc....
ReplyDeleteWoo
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteNice all
ReplyDeleteNice...
ReplyDeletegood
ReplyDeleteWell
ReplyDeleteValo
ReplyDeleteNc
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteগুড
ReplyDelete????
ReplyDelete