আলোরপথ ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাদের ঘরে খাবার নেই কিন্তু হাত পাততে পারেন না, তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।’
শনিবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনে পাবনা - ৪ আসনে প্রয়াত এমপি শামসুর রহমান শরিফের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রস্তাব ওপর আলোচনাকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘কেউ যাতে খাবারের কষ্ট না পায়, সে ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। অনেক সময় আমি নিজেও এসএমএস পাই, এসএমএস করে- ‘আপা আমার ঘরে খাবার নাই।’ সাথে সাথে আমরা উদ্যোগ নেই। শুধু তাই (ওই মেসেজ) নয়, আশপাশে আরও যারা এমন আছে- যারা হাত পাততে পারবে না, কিন্তু তাদের ঘরে খাবার নেই, চাইতে পারছে না- তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার সেই ব্যবস্থাটাও কিন্তু আমরা নিয়েছি এবং নিচ্ছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। অনেক চিন্তা হচ্ছে। অনেকেই বলছে, শীত হলে বেশি হয়, গরম হলে কমে। আবার বলে গরম হলেও থাকবে। এর স্থায়িত্ব কী, অদ্ভুত একটা অবস্থা সারাবিশ্বে। কত শক্তিশালী দেশ, কত তাদের শক্তিশালী অস্ত্র। কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। একটা ভাইরাস যা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তার কারণে সারাবিশ্ব স্থবির। সারাবিশ্বের মানুষ ঘরে বন্দী। এরকম অদ্ভূত পরিস্থিতি হয় আর কখনো হয়নি।
’তিনি বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবে আশু করণীয় হিসেবে মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামী তিন বছর অর্থনৈতিকভাবে দেশের মানুষ যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য আমরা। প্রণোদনা প্যাকেজ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি। এই সঙ্কট যেনো কাটিয়ে উঠতে পারি, সেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো আছে । যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানে আমরা ভালো আছি। আমরা মানুষকে বার বার ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আসলে মানুষ কেন যেন বেশি সাহসী হয়ে গেছে, অনেকেই নির্দেশনা মানতেই চায় না। আমি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার যে নির্দেশনা, সবাই দয়া করে সেটা মেনে চলবেন। তাহলে কেউ করোনা ঝুঁকিতে পড়বেন না।’
তিনি বলেন, যেখানে কাবা শরিফে কারফিউ দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলব, মসজিদে না গিয়ে। ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকেন। আল্লাহ নিশ্চয় সব শুনবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা পারদর্শী। কিন্তু করোনাভাইরাসের দুর্যোগ সম্পর্কে আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই, এমনকি পৃথিবীর কারও নেই। করোনার প্রাদুর্ভাব যে এত ভয়াবহ হবে, তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। যখন এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, তখনই আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
No comments:
Post a Comment