রবিউল করিম,কোনাবাড়ী, গাজীপুর: ক্ষুধার্ত পেট আর খালি পকেট এখন অনেকের নিত্যসঙ্গী। টানা ১ মাস গৃহবন্দী থাকার পর গাজীপুর এ খুলছে সীমিত আকারে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা। এমন অবস্থায় দেশের বিভিন্ন জেলা হতে শ্রমিক আশা শুরু করেছে গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকায়। এতে আতংকে রয়েছে কোনাবাড়ীবাসী।
এসব শ্রমিকদের থেকে কোনাবাড়ীবাসীকে নিরাপত্তা এবং করোনা ঝুকি কমাতে কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন বসিয়েছেন চেকপোস্ট।
বেশ কিছু তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ১২ নং ওয়ার্ডে বাইমাইল এলাকায় প্রতিটি শ্রমিককে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে কোনাবাড়ী বাইমাইলে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ ছুটির ভেতরেই কাজে যোগ দিচ্ছেন গাজীপুরের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
জীবিকার তাগিদে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন অনেকে। এ সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। বাধ্য হয়ে হেঁটে ও রিকশা-ভ্যানে করে কর্মস্থলে যোগ দেন। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেন তারা। এদিকে লকডাউনের মধ্যে পোশাক শ্রমিকরা চলে আসায় করোনা আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, অল্প সংখ্যক ভলান্টিয়ার নিয়ে সামাল দেয়া তার পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিটি বহিরাগতদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে তবেই এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। তবেই কিছুটা হলেও শঙ্কামুক্ত থাকা যায়। কার শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে তা বুঝা মুশকিল।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেনোই বা শ্রমিকদের কষ্ট করে বাড়ি যেতে হবে, আবার কষ্ট করে ফিরে আসতে হবে। মাঝখানে শুধু ঝুঁকির মুখে পড়ে আছি আমরা।
No comments:
Post a Comment