মইনুল ইসলাম মিশুক, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
সকালে কর্মঘণ্টার শুরুতেই কাস্তে হাতে মাঠে নেমে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা। শুরু হয়েছে বুরো মৌসুম। সোনালী ধানে হাসছে মাঠ। করোনাভাইরাসে প্রভাবে ঘরবন্দি মানুষ। মানুষ ঘরে বন্দি থাকায় পাকা ধান উঠোন গড়িয়ে গোলায় উঠছে না। কৃষকের চোখে মুখে চিন্তার বলিরেখা স্পষ্ট হচ্ছে। সোনালী ধানে মাঠ জ¦ল জ¦ল করলেও ঠোঁটের কোণে হাসি নেই কৃষকের। শ্রমিক সঙ্কট সারাদেশে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে ধান তুলতে না পারলে দেশেও খাদ্য সঙ্কট দেখা দেবে। কৃষি ও কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এমনই মুহূর্তে সরকারের সময়োচিত দিকনির্দেশনা পৌঁছে যায় মাঠ প্রশাসনে। কৃষকের ধান ঘরে তুলে দিতে হবে।
সরকারি এমন দিকনির্দেশনা তার ওপর নানামুখী জনকল্যাণমূলক কাজের ফলে হোমনাবাসীর প্রাণে ঠাঁই করে নেওয়া ইউএনও তাপ্তি চাকমা জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও স্কাউট সদস্যদের নিয়ে কাস্তে হাতে ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করলেন। শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার কৃষক ফিরোজ মিয়ার দুই বিঘা জমির ধান বিনা পারিশ্রমিকে কেটে ও মাড়াই করে কৃষকের গোলায় তুলে দিলেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটা ও মাড়াই কার্যক্রমে অংশ নেন- পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রুহুল আমিন, উপজেলা স্কাউট সম্পাদক ও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান, উপজেলা স্কাউট লিডার এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম শামীম, সহকারী শিক্ষক মো. দাদান মিয়া, আমিনুল ইসলামসহ ৫০ জন স্কাউট সদস্য ও শিক্ষার্থী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কাউট ও ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে মাঠের ধান কেটে ধান কাটা ও মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন করেছি। কৃষি ও কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই যতদিন মাঠে ধান থাকবে, ততদিন আমাদের এই ধান কাটা ও মাড়াই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
No comments:
Post a Comment